শীতের দুপুরে খালি গায়ে 
একদল রাখাল ছেলে ব্যস্ত ডাংগুলিতে  
চিৎকার চেঁচামেচিতে মুখরিত আকাশ
মাঝে মাঝে ঝগড়া তুচ্ছ বিষয়ে ।
শীতের  হালকা রৌদ্রের তেজে 
শরীরে মাঝে অপরূপ অনুভুতি।

গরুগুলো মগ্ন চরতে
কিছু কাক গরুর পিঠে খেলায় মত্ত  
লোমের মাঝে অবাঞ্ছিত 
পরজীবীদের সমূলে উৎখাতে।
একটি বালক গাছের ছায়ায় হেলান দিয়ে 
মগ্ন বাঁশুরিতে ধুয়োজারী গান তুলতে 
হারিয়েছে সে যেন গানের ভুবনে।
সঙ্গীতে মুগ্ধ আকাশ, মুগ্ধ বাতাশ 
রাখালগুলোর খেলায় রাশ
তারাও মুগ্ধ সঙ্গীতে । 
এ যেন পাগলা কানাই
ফিরে এসেছে জারী সঙ্গীত নিয়ে ।

***পাগলা কানাই বা কানাই শেখ (জন্ম: ১৮০৯-মৃত্যু: ১৮৮৯) আধ্যাত্নিক চিন্তা চেতনার সাধক-অসংখ্য দেহতত্ত্ব, জারি, বাউল, মারফতি, ধূয়া, মুর্শিদি গানের স্রষ্টা।

পাগলা কানাই ১৮০৯ সালে তৎকালীন যশোর জেলার ঝিনাইদহ মহকুমার, বর্তমান ঝিনাইদহ জেলার, লেবুতলা গ্রামের এক দরিদ্র কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

তিনি যশোর, কুষ্টিয়া, পাবনা রাজশাহী, বগুড়া প্রভৃতি স্থানে আধ্যাত্মিকতাপূর্ণ গান গেয়ে বেড়াতেন।