মোটেও জানিনা, এও সম্ভব কি না?
তবে এটুকুই জানি, অভিধানে 'অসম্ভবের' অস্তিত্ব নেই,
আমার বিশ্বাস, অটল।
সম্পূর্ণ অচেনা অজানা, হতেও পারে চেনাজানা
কেউ তো ঘর বেঁধেছে সময়ের ওপারে
একটু দূরে, একটু ভেতর ঘেঁষে।
আমারই মনের মাঝে মিশে
অনেক কথাই বলে যায় নিশ্চুপে।
জীবন, প্রায়শঃ ঠেলে দেয় অগ্নিপরীক্ষায়
তাই তো, বেশ চিন্তা ভাবনা করে
সে সব জটিল প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বেড়াই।
সাফল্যের চারিপাশে বন-বন করে ঘুরে
কালো চুলে আজ সাদার ছড়াছড়ি
তবুও সাফল্যের দেখা নেই
উল্টে, হতাশার কালো দাগ গালে লেপ্টে যায়
আর ব্যর্থতা, মুচকি হাসে অদূরে দাঁড়িয়ে।
আচ্ছা, ব্যর্থতাকে কি ঝেড়ে ফেলা যায় না?
আইলার ঝড়ে বাস্তুচ্যুত করা যায় না?
কিংবা আন্দামানের নির্জনে নির্বাসিত করা যায় না?
কিন্তু সেও নাছোড়বান্দা,লজ্জার চাদর খুলে ফেলে
পুররায় ফিরে আসে স্বমহিমাতে
সফলতা সরে যায় দূর বহুদূর।
হেরে যাই স্বাভিমানের যুদ্ধে,
ভাবি, এ জীবনে সম্ভব আর কিছুই নয়!
ঠিক তখনই এক রহস্যময় শব্দ কানে বাজে
তীব্রগতিতে, স্থান-কাল,পাত্রের বুক চিরে
দূর থেকে ভেসে আসা এক সারগম
কানে কানে বলে - "হাল ছেড়ো না,
আর এক শেষ চেষ্টা করতে ক্ষতি কি?
হতে পারে সে চেষ্টাই খুলে দেবে সাফল্যের দুয়ার।
জানি না রহস্যময় সে শব্দের উৎস কোথা!
আমারই অন্তঃআত্মার ডাক না কোনও অপরিচিতের?
কিন্তু খুবই চেনা-জানা সে ডাক
ভাবি ক্ষতি কি, শেষ চেষ্টায় তো!
দেখায় যাক না শেষমেশ কি হয়?
ডগমগ করে আত্ববিস্বাস,ফিরে আসে বাঁচার রসদ।
এমনেই জীবন নদী বেয়ে যায় আপন মহিমায়।
আর যখনই জীবন ঢেকে যায় ব্যর্থতার বাদলে
একাকীত্বে, বন্ধ চোখে আজও শুনি সেই ডাক
যা মুহুর্তে বদলে দেয় জীবনের সব সমীকরণ,
আমারই অন্তঃআত্মার ডাক।