গ্রামীণ অর্থনীতিতে কোরোনার প্রভাব
কোরোনা ও লকডাউন বর্তমান সময়কে বহু পেছনে ঠেলে দিয়েছে। সমাজের এক বিশেষ শ্রেণীর মানুষের জন্য এই লকডাউন অভিশাপের মত, বিশেষ করে গ্রাম বাংলার গরীব, কৃষক। একদিকে কোরোনার আতঙ্কে রাতের ঘুম উড়ে গেছে, অপর দিকে অনাহারে মৃত্যুর আশঙ্কা। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার সর্ব স্তরে নিরলসভাবে কাজ করছে এবং সেই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই, যদিও বা অপ্রতুল।
দেশের বিস্তৃত প্রদেশে এখন গম ও অন্যান্য ফসলের কাটায় মাড়াইয়ের উপযুক্ত সময়। কিন্তু লকডাউনের পরিপ্রেক্ষিতে শ্রমিকের অকাল, ফলস্বরূপ মাঠের ফসল, মাঠেই। এমন পরিস্থিতিতে এক পশলা বৃষ্টি মানেই সর্বনাশ, এর প্রভাব, আগামী দিনে দেশের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর, বদলে যেতে পারে যাবতীয় সমীকরণ, নেমে আসতে পারে দুর্ভিক্ষ ও মহামারী।
গ্রামীণ অর্থব্যবস্থার দিকে নজর ঘোরালে অনায়াসেই বুঝতে পারি, প্রতিটি ঘর থেকে কমপক্ষে একজন সদস্য কাজের সূত্রে শহরমুখী ও পরিযায়ী। মাসের শেষে যতটুকুই উপার্জন, সেই থেকে একটি বড় অংশ সংসার চালাতে নিয়মিত বাড়িতে পাঠায়। বর্তমানে লকডাউনের ভাগদৌড়ের কারণে প্রায়ই গ্রামমুখী, এমন পরিস্থিতিতে সকলেই চায় পরিবারের সাথে থাকতে, বাকি যাঁরা এখনও বাড়ির বাইরে আটকে আছে, তাদের অবস্থা দুর্বিষহ। আর এক শ্রেণীর গ্রামীণ যাঁরা গ্রামে থেকেই চাষবাস, সবজি উৎপাদন, পশুপালন, দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের সাথে জড়িয়ে তাঁদের অবস্থা আরও করুণ। তথ্য অনুযায়ী লকডাউনের জন্য শহর ও শহরতলীতে শাক শব্জি ও দুধের চাহিদা 30 থেকে 40 শতাংশ কমে গেছে, মানুষের টাকার ভাঁড়ার ফুরিয়ে আসছে, সকলেই চিন্তিত, সামনে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে। ফলে এত প্রভাব সরাসরি গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। আর লকডাউন উঠে গেলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া সময় সাপেক্ষ।
আরও এক সমস্যা, বিশেষ করে পণ্য দ্রব্যের মূল্য দিন প্রতিদিন উর্ধমুখী, ফলে গ্রামীণ পরিবারের সদস্যদের অন্ন জোটানোর সাথে সাথে পালিত পশু পাখিদের চারা ও অন্যান্য সামগ্রী জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছে। এদিকে মাঠে ফসল ও শাক সবজি কেনার লোক নেই, উপার্জনের সব রাস্তা বন্ধ।
রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের সামনে এক কঠিন পঙ্কিল পথ, দেশের শহরের অর্থনীতির সাথে সাথে গ্রাম বাংলার অর্থনীতিকেও উজ্জীবিত করা। শহর থেকে পলায়ন করা সেই সমস্ত পরিযায়ী নির্মাণ শ্রমিক থেকে শুরু করে কুশল কামগার সকলকে রোজগারের পথ দেখানো।
পরিশেষে, একটা কথা বলতে চাই, এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে হলে সকলকেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে, শুধু সরকারের ঘাড়ে বোঝা চাপিয়ে দিলেই চলবে না কিছু বোঝ আমাদেরকেও বইতে হবে, তবেই আমাদের এই সুন্দর দেশ পুনরায় প্রাণ খুলে নিঃস্বাস নেবে এবং আমরাও।
কোরোনা ও লকডাউন বর্তমান সময়কে বহু পেছনে ঠেলে দিয়েছে। সমাজের এক বিশেষ শ্রেণীর মানুষের জন্য এই লকডাউন অভিশাপের মত, বিশেষ করে গ্রাম বাংলার গরীব, কৃষক। একদিকে কোরোনার আতঙ্কে রাতের ঘুম উড়ে গেছে, অপর দিকে অনাহারে মৃত্যুর আশঙ্কা। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার সর্ব স্তরে নিরলসভাবে কাজ করছে এবং সেই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই, যদিও বা অপ্রতুল।
দেশের বিস্তৃত প্রদেশে এখন গম ও অন্যান্য ফসলের কাটায় মাড়াইয়ের উপযুক্ত সময়। কিন্তু লকডাউনের পরিপ্রেক্ষিতে শ্রমিকের অকাল, ফলস্বরূপ মাঠের ফসল, মাঠেই। এমন পরিস্থিতিতে এক পশলা বৃষ্টি মানেই সর্বনাশ, এর প্রভাব, আগামী দিনে দেশের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর, বদলে যেতে পারে যাবতীয় সমীকরণ, নেমে আসতে পারে দুর্ভিক্ষ ও মহামারী।
গ্রামীণ অর্থব্যবস্থার দিকে নজর ঘোরালে অনায়াসেই বুঝতে পারি, প্রতিটি ঘর থেকে কমপক্ষে একজন সদস্য কাজের সূত্রে শহরমুখী ও পরিযায়ী। মাসের শেষে যতটুকুই উপার্জন, সেই থেকে একটি বড় অংশ সংসার চালাতে নিয়মিত বাড়িতে পাঠায়। বর্তমানে লকডাউনের ভাগদৌড়ের কারণে প্রায়ই গ্রামমুখী, এমন পরিস্থিতিতে সকলেই চায় পরিবারের সাথে থাকতে, বাকি যাঁরা এখনও বাড়ির বাইরে আটকে আছে, তাদের অবস্থা দুর্বিষহ। আর এক শ্রেণীর গ্রামীণ যাঁরা গ্রামে থেকেই চাষবাস, সবজি উৎপাদন, পশুপালন, দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের সাথে জড়িয়ে তাঁদের অবস্থা আরও করুণ। তথ্য অনুযায়ী লকডাউনের জন্য শহর ও শহরতলীতে শাক শব্জি ও দুধের চাহিদা 30 থেকে 40 শতাংশ কমে গেছে, মানুষের টাকার ভাঁড়ার ফুরিয়ে আসছে, সকলেই চিন্তিত, সামনে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে। ফলে এত প্রভাব সরাসরি গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। আর লকডাউন উঠে গেলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া সময় সাপেক্ষ।
আরও এক সমস্যা, বিশেষ করে পণ্য দ্রব্যের মূল্য দিন প্রতিদিন উর্ধমুখী, ফলে গ্রামীণ পরিবারের সদস্যদের অন্ন জোটানোর সাথে সাথে পালিত পশু পাখিদের চারা ও অন্যান্য সামগ্রী জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছে। এদিকে মাঠে ফসল ও শাক সবজি কেনার লোক নেই, উপার্জনের সব রাস্তা বন্ধ।
রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের সামনে এক কঠিন পঙ্কিল পথ, দেশের শহরের অর্থনীতির সাথে সাথে গ্রাম বাংলার অর্থনীতিকেও উজ্জীবিত করা। শহর থেকে পলায়ন করা সেই সমস্ত পরিযায়ী নির্মাণ শ্রমিক থেকে শুরু করে কুশল কামগার সকলকে রোজগারের পথ দেখানো।
পরিশেষে, একটা কথা বলতে চাই, এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে হলে সকলকেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে, শুধু সরকারের ঘাড়ে বোঝা চাপিয়ে দিলেই চলবে না কিছু বোঝ আমাদেরকেও বইতে হবে, তবেই আমাদের এই সুন্দর দেশ পুনরায় প্রাণ খুলে নিঃস্বাস নেবে এবং আমরাও।