কাগজের পতঙ্গ

এডমিন
0


কাগজের পতঙ্গ

ছেড়া ফাটা জীর্ণ শীর্ণ, কাগজের টুকরো আমি,
পড়েছিলাম ধুলোমাখা পথের ধারে,
অনাদরে.....
এক দামাল ছেলের পাগলামিতে পূর্ণতা পেলাম,
রূপান্তরিত হলাম রংবেরঙের পতঙ্গে।
উড়াতে শিখেনি সে,
বহুদিন পড়ে ছিলাম বস্তির চিলতে ঘরে।
একদিন ইচ্ছে হল আকাশ ছোয়ার
দামাল ছেলেটি নিপুণ হাতে
কখনো সুতোয় ধিল দিয়ে
কখনো বা শক্ত হাতে টান দিয়ে
করলো সে অসাধ্য সাধন।
দানব রূপী অন্য সব পতঙ্গের থেকে প্রাণে বেঁচে
পাড়ি দিলাম নীল গগনে।

উন্মুক্ত, সতন্ত্র, নির্ভয়, নিডর
উড়তে থাকি সুউচ্চ গগনে,
মেঘের সীমানা ছাড়িয়ে আরও উপরে,
অনন্ত গগনে.....।

অদ্ভুত এক নেশার ঘোরে চুভে আছি,উচ্চতাকে ছোযার,
চোখের সামনে শুধু রংমিলান্টির বাহারী আকাশ।
মাঝে মাঝে নিচে ঝুঁকে দেখি
কিন্তু প্রায় কিছুই যায় না দেখা
না মেদিনী না মানব,
না বুর্জ খলিফা, না হিমালয়ের চূড়া
নিচে পিপীলিকার মত পিলপিল করে
মানব, দানব, কীট পতঙ্গের দল।

বহুকষ্টে দেখার চেষ্টা করি
কার হাতে লাগাম, কার হাতে সুতো ভর্তি লাটায়,
কার হাতেই বা ডোর......
কেই বা অনবরত ঝাঁকিয়ে যায় হাত।
ভাবছি যদি ফসকে যায় হাত থেকে
কিংবা ছিড়ে যায় বাতাসের টানে
কি হবে ভবিতব্য আমার,
পুনরায় কি আমি.... পরিণত হবো
জীর্ণ শীর্ণ ছেড়া ফাটা....
অনাদরে পড়ে থাকা কাগজের টুকরোয়।


Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)

#buttons=(Accept !) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Accept !