বরফের গোলা ধরে দাঁড়িয়ে আছি
পা পিছলে পড়তে পারি অচিরেই
সামনে মমতার মাঠখানি
হাঁ করে দাঁড়িয়ে আছে সুমেরুর দিকে।
অপূর্ণ গল্পখানি আমার
অন্ধকারে পথ হারিয়ে
থেমেছে তোমার দ্বারে !
গুটিকয়েক বন্ধুরা সবাই বুদ্ধিজীবী
খুব ভয় পায় ওদের থেকে,
ওরা ব্যস্ত নিজেদের নিয়ে
মধ্যরাতে মদ-বিনিময়ে ব্যস্ত থাকে।
ভূমিচ্যুত প্রান্তিক চাষি আমি
ভালোবাসার অর্থ বুঝি না!
সাবানজলে ধোয়া আতপ চালের ভাত
কলমি শাক আর মিষ্টি কুমড়া দিয়ে মেখে
কলিজা ভুনার আয়োজন চলছে।
কোথায় থামবো আমি
সামনে আর পেছনে কেবলি নর-ভাষ্যের নদী,
বোঝা বোঝা কঙ্কাল বয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি।
সেলফি তোলার নেশায় কাশ বনে মাচা গড়েছি
মর্মরিত মহালয়া, অকালবোধনও গেল
কিন্তু দুর্গা এলো না ।
গা পুড়লে তুমিও ঢের পাবে
আর কে কে ছিল গুনাগার
হলফ করে বলছি,বরফের নাউ বহিবো না।
এবার বুঝবে অকালকুষ্মাণ্ডরা
খরস্রোতা নদী পার করবে কেমনে!!
ওহে আজ রাতে রূপবানের পালা আছে
তোমরা আসছে নাকি?
সস্তা সুন্দরী মেয়েটা নাকি নাচবে কাপড় খুলে
আর স্যুট-টাই পড়া লোকটি ধর্ষণের অভিনয় করবে
আমি কিন্তু সুন্দর নকশি কাঁথার ডোরাকাটা পাঞ্জাবিটাই পড়বো
বেশ মনকাড়া, তাই নয় কী?
হিংসে তো করবেই, নেই যে তোমাদের!!
সব সীমাবদ্ধতার অবসান ঘটুক।
মহামারি উবে যাক। শান্ত হোক প্রকৃতি।
বাদুড়ের কলিজা ভুনার আয়োজন চলছে
উষ্ণ বস্ত্র, শীতবস্ত্র ইটের তাকে
থরে থরে সাজানো নাসার করিডর পর্য্যন্ত।
সব কিছু ভিন্ন মনে হয়
গাঢ়ভাবে তাকালে মনে হয় মেহফিল,
আবির ছোঁয়া প্রকৃতির প্রেক্ষিতে ওড়ে সূর্যস্নাত প্রজাপতি
খুলে যায় মরমের খিল,
তখনই এসে দাঁড়াই কৃত্রিম ঝিল, টলটলে সবুজ।
এখনও আছে বুঝি নিরিবিলি
শূন্যতায় যাবজ্জীবনের ক্ষয়িষ্ণু ক্ষারে।
ফেরার পথে দেখি সুরুজ ছিটানো উপত্যকা,
ম্লান হিমালয়, ক্লান্ত শেরপা
টুপ করে পড়ে যায় বরফের গোলাখানি।
আমি চেয়ে আছি মমতার মাঠের দিকে
সামনে ভেসে ওঠে গভীর সংকেত
বুঝি ওইখানে সাহসের দীর্ঘ ডানা হয়ে আছে চুপ
গ্রহের কিনারে পড়ে থাকা উড়ন্ত হাসিও নিশ্চুপ!
বলপ্রয়োগ করে এই মাটিতেই এঁকে যাচ্ছি
নির্মম ধর্ষণের দাগ।
বিষয়টা কিন্ত বদলাচ্ছে না!!