ছোট্ট পাথুরে ঘরের পাশ দিয়ে নেমে গেছে
একটি পাহাড়ি ঝর্ণা।
তার পেছনের পথটা ঘুটঘুটে অন্ধকার
যাবো না সেদিকে....পথভ্রষ্ট হলেও
যদি হারিয়ে যায়!!
যদি বা দেখা দেয় কালো ভালুক
আমি কিন্তু দমবন্ধ করতে পারবো না
অকালে চলে যাবে প্রাণটি।
এলোমেলো বাতাস
দেখা যাক কোথায় যায়, কতদূর যায়?
বৃষ্টি-রুপী বিন্দু বিন্দু ঘাম ঠোঁটের কোণে জমা হয়
নোনতা নোনতা ভাব
মোটেও চাটতে পারবো না।
স্বপ্নে সেদিন অভিমন্যুকে বলেছিলাম
বেরিয়ে আয় মায়ের গর্ভ থেকে
যুদ্ধে পাঠাবো তোকে
তিন পাহাড়ের ওদিকে নাকি শত্রুপক্ষ দাঁড়িয়ে
শত শত, কাতারে
সেখানে ফুটেছে সন্ধ্যা মালতী নামক ফুলটা
পাশে ঝকঝকে সাদা বোর্ডে লেখা
অভিমন্যু স্বাগত তোমাকে!!
ঘুমহীন তালপাতার উপর
একটা অন্ধ প্রজাপতি বসেছিল
প্রত্যাশার চাদর সরিয়ে দেখি
আমার চারিপাশে ঘুরঘুর করছে।
মৃদু বকা দিতেই....
এক ডানা দিয়েই স্যালুট ঠুকেছিল
আশ্চর্য!!
পাল্টে গেছে ডানারও ভূমিকা।
শেষ অধ্যায়ের কাছাকাছি প্রায়ই এসে গেছি
সমাপ্তিটা কি হতে চলেছে.....
বুঝতে আর নেইকো বাকি,
হন হন করে হাঁটা দিলে....যে
দাঁড়াও!! একটু দাঁড়াও.........!!
এভাবেই বা চলে যাও কেন?
সমাপ্তিটা কি নতুন করে লিখতে পারি না?