পথ ভুলে দেখা

এডমিন
0
পথ ভুলে দেখা

চিত্র ঃ সৌজন্যে গুগল 

অফিস থেকে ঘর মাত্র মিনিট ১০এর দুরত্ব, প্রায় বছর খানেক ধরে নিয়মিত অফিস - বাড়ি করছি কিন্তু সঠিক দুরত্ব এখনোও দেখা হয়নি, বড়জোর ৪-৫ কিমি হবে বা একটু বেশী। অফিস থেকে বেরিয়ে সদ্য নির্মিত ঝা চকচকে কার্পেটের মতো মসৃণ জাতীয় সড়ক ধরে মাত্র ২-৩ মিনিট যাওয়ার পর সামনে একটি ক্রসিং, সেখান থেকে ডানদিকে ঘুড়িয়ে একটু এগোলেই আমার স্বপ্নের রাজপ্রাসাদ সম দোতালা জরাজীর্ণ মহল, অবিশ্যি এলাকায় এক ডাকেই ভুত বাংলা বলে পরিচিত। দশ বিশ কিলোমিটার দূরের যে কোনও লোককে ভুত বাংলার বিবরণ দিলে নিভুল ঠিকানাই পৌঁছে দেবে, এমনই সুনাম। অবিশ্যি আমি কোনও দিন ভুত দেখিনি মা নাকি তেনাদের সাথে নিত্য কথাবর্তা বলেন। তল্লাটে কেউ ভয়ে পা বাড়ায় না। নেহাতই মৃত্যুশয্যায় অন্তিম লগ্নে দাদুকে দেওয়া প্রতিশুতি অমান্য করার সাহস দেখাতে পারি নি তাই বৃদ্ধ মা কে নিয়ে বসবাস করছি, নইলে কবেই বিক্রি করে ফুরর হয়ে যেতাম, মা নাকি মাঝ রাতে দাদুর জন্য দেশী মুরগির মাংস ও ওল সেদ্ধ সহ বেশ কয়েকটি পদ রান্না করে নিয়ে যায়, কে খায় কে জানে? দাদু না দাদুর ভুত? মায়ের ও ভীমরতি দিন দিন বেড়েই চলেছে কিন্তু আমি নিরূপায়। শুধুমাত্র একটা সান্তনা অট্টালিকায় চোরের উৎপাত একেবারেই নাই, হয়তো দাদুর ক্যালানি ইতিমধ্যেই খাওয়া হয়ে গেছে তাদের।

যাই হোক মূল ঘটনায় ফিরে আসি, ক্রসিং থেকে ডানদিকে না ঘুরে ভাবলাম, আজকে যাত্রাটা একটু অন্য ভাবে উপভোগ করি, সাত পাঁচ না ভেবে বাঁ দিকে বাইকটা কে ঘুরিয়ে দিলাম, এই পথে আগে দু একবার এসেছিলাম যখন জাতীয় সড়কের কাজ চলার সময় শর্টকাট রাস্তা বন্ধ ছিল।জাতীয় সড়ক বরাবর বেশ কিছুটা দুর এগিয়ে যাওয়ার পর, একটা নদীর দেখা মেলে, সেই নদীর ব্রিজের নীচে ডানদিকে ঘুড়িয়ে বাইক টা কে একটু কষ্ট দিয়ে মিনিট ১০এক এর বেশি সময় ব্যয় করলেই নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে যাওয়া যায়।

শহরীকরণের ঠ্যালায় আজ থেকে বছর দশেকের সেই মেঠো ধুলোয় ভর্তি রাস্তা এখন একেবারেই সাহেবি চাল ঢাল, দুপাশে নিপুণ হাতে সাজানো সারি সারি দেবদারুর দল এক লাইনে দাড়িয়ে আছে, বেশ ভালো লাগে মেঠো পথের নতুনত্বে।যে কলোনীর পাশ দিয়ে হুস হুস করে বাইক ছুটিয়ে যাচ্ছিলাম সেটা অভিজাত এলাকা, বড়ো বড়ো সরকারি অধিকারীদের নয়নাভিরাম সাজানো ঘুচানো বাড়ি, দেখেই চোখ জুড়ে যায়। বাইকের গতি ধীরে করে এক এক করে বাড়ির সামনে লাগানো নাম ফলক গুলো পড়তে লাগলাম, যেমন নামের বহর, তেমনি উঁচু পদাধিকার খোদায় করা হয়েছে। মনে হচ্ছে শহরের সমস্ত উচ্চ পদাধিকারী সরকারি চাকরিজবীদের বাস এখানেই, হয়তো এদের মধ্যে কেউ আইএএস অফিসার, তো কেউ জজ বা পুলিশ, কেউ ইঞ্জিনিয়ার তো কেউ বা ডাক্তার....!!

হঠাৎ করেই এক প্লাস্টিক ট্রিপল বা পলিথিন দিয়ে বানানো ঝোপড় ঘরের উপর, আশ্চর্য আগে পেছনে, সামনে ডানে বামে বড়ো বড়ো সব অধিকারীদের বাংলো, তার মাঝে এই ঝোপর ঘর!!! একেবারেই বেমানান। সেই ঝপোর ঘরের সামনে গোটা কয়েক শূকর ঘোরাঘুরি করছিলো, দেখেই গা ঘিনঘিন করে উঠলো। ঘরের সামনে এক মহিলা বসে আছে এবং পাশে একটা বছর ১১ কি ১২র মেয়ে, চুলগুলো অযত্নে রুক্ষ শুষ্ক, কিন্তু মেয়েটার চোখ দুটো বেশ টানাটানা, খুব ভালো লাগলো দেখে। বাইকটা দাঁড় করিয়ে ঘড়ির কাঁটার দিকে তাকিয়ে দেখি সাড়ে ৬ টা, সনে মাত্র সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে, সেই ঝপড়ির পাশেই কর্পোরেশনের বাত্তি মনে স্ট্রিট লাইট, সেই লাইটে ঘরটা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। বাচ্চা মেয়েটা ভাঙা প্লাস্টিকের চেয়ারে বসে মনোসহ্যযোগে আনমনে পড়ছে, দৃশ্য টা আমার খুব ভালো লাগলো, বাইক থেকে নেমে গুটি গুটি পায়ে মেয়েটির কাছে গিয়ে দাঁড়ালাম, পাশে বসে থাকা মহিলা অবাক হয়ে আমার দিকে চেয়ে আছে, আমি মুচকি হেসে বললাম কেমন আছেন? মহিলার অবস্থা প্রায় মূর্ছা যাওয়ার মতো, মুখ দিয়ে কথা বেরোচ্ছে না, আমি মানুষ না ভুত? নিজে নিজেকেই চিমটি কাটলাম, না ব্যথা অনুভব করলাম, আমি জীবন্ত মানুষ!! ভুত তুট মোটেও নাম। এবার বাচ্চা মেয়েটার দিকে চেয়ে হেসে বললাম তুই কি পড়ছিস?

মেয়েটি বললো -- হোম ওয়ার্ক করছি কাকু। 

মেয়েটির কাকু সম্বোধন ভালোই লাগলো, যদিও এখনও কাকু হওয়ার মতো যোগ্যতা অর্জন করিনি। মেয়েটার বই খাতা গুলোর দিকে দৃষ্টপাত করলাম, বেশ সুন্দর করে মলাট লাগানো। 

আমি জিজ্ঞেস করলাম কোন স্কুলে পড়িস? উত্তরে সে বললো মালতিপুর হাই স্কুলে। বাংলা মিডিয়ামের স্কুলটা আমার চেনা, খুব কাছেই। আমি পুনরায় জিজ্ঞেস করতে সে বললো ইংরেজি বই পড়ছে। এবার আমার অজ্ঞান হওয়ার পালা।

একটু পড়ে শুনাবি? 

মেয়েটি মাথা ঝাঁকিয়ে জোরে জোরে একেবারেই নির্ভুল উচ্চারণ সহ পড়তে লাগলো, এতো সুন্দর উচ্চারণ শুনে অবাক!! পড়া শেষে খুব সুন্দর ভাবে গল্পের মানেও বোঝাতে লাগলো। আমার ইন্টারেস্ট বাড়তে লাগলো।

তোর ব্যাগে কি আছে দেখাবি?

মেয়েটি এক এক করে ব্যাগ থেকে পেন্সিল, রাবার, বই খাতা আদি প্রতিটি জিনিস বের করে দেখাল ও বিস্তার সহকারে প্রতিটি জিনিসের কার কি উপযোগ বর্ণনা দিলো।

আমি জিজ্ঞেস করলাম, কয় ভাই বোন তোরা? সে জানালো তারা দুই বোন ও এক ভাই , বড়ো দিদি গ্রামের বাড়িতে দাদু দিদার কাছে থাকে ও ছোট ভাই এক বছর আগে মারা গেছে। নির্লিপ্ত ভাবেই জানালো ভাই মশার কামড় খেয়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে আর দিদি বড়ো হয়েছে, খোলা রাস্তায় বাস করা ঠিক নয় বলে মা গ্রামে পাঠিয়ে দিয়েছে। আমি বাচ্চাটির মায়ের দিকে তাকিয়ে বললাম, প্রধান মন্ত্রী যোজনার অধীন গরীবদের যে বাড়ি দেওয়া হয় পাওনি? মহিলা নির্বিকার, কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললো, আমাদের দরকার নাই সে বাড়ি!!! আমি আর কথা বাড়ালাম না, মনে হচ্ছে ভেতরে অনেক রাগ পুষে রাখা আছে, বিস্ফোট হলে বাঁচা দায়! তবুও বললাম কেন ?
মহিলা বললো, মানুষের প্যাট ভরবে তবেই তো পাবো!! নিদারুণ বাস্তব কথা, অন্তত আমার কাছে এর সদুত্তর নাই।

বেশ কিছুক্ষণ চুপচাপ থাকার পর, বাচ্চা মেয়েটি বললো, জানো কাকু এটা আমাদের পাঁচ নম্বর ঘর। আমরা মাস ছয়েক আগেই এখানে এসেছি, কিন্তু এখানেও বেশিদিন টিকে থাকা যাবে না, প্রতিদিন রাতে পুলিশ এসে বাবাকে ধমকায়, উঠে যেতে বলে। আমরা এবার কোথায় যাবো বলো? কথাগুলো খুবই কঠোর, ছোট্ট একটি মেয়ে, সেও বুঝতে পারছে জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতা। মেয়েটিকে দেখে মনে হচ্ছে,জীবন যুদ্ধে হার না মানা এক অকুতোভয় সৈনিক ।

সরকার থেকে তো ঘর দেওয়া হয়, তোর বাবা কি পায় নি?

উদ্দেশ্যহীন এদিক ওদিক তাকিয়ে একটু হেঁসে বললো, জানো কাকু আমার খুব ইচ্ছে একটা দুতালা প্লাস্টিকের ঘর বানাবো, বাঁশের মই বেয়ে উপরে উঠবো, আমি দিদি থাকবো দোতলায়, মা ও বাবা নিচে!!!
একটা ছোট্ট বাড়ি, প্রতিটি মানুষের জীবনের স্বপ্ন, সেটাকে সকলেই বাস্তবায়িত করতে জীবনের শেষ পুঁজিটুকুও বিনিয়োগ করতে দ্বিধা বোধ করে না, এমতস্থায় ছোট্ট মেয়েটিরও নিজস্ব বাড়ি বা ছোট্ট একটা প্লাস্টিকের ঘর থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক।

কৌতূহল বশত মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করলাম, এই বয়সে কেন ঘর বানাতে চাস?

কাকু তুমি বুদ্ধু!!!!?

বুদ্ধু!!! বেশ লাগলো মেয়েটির মুখে।

আমাকে বুদ্ধু কেন বললি?

কাকু, দেখি, তুমি তো কিছুই জানো না!! আরে নিজের বাড়ী ঘর থাকলে তবেই তো আধার কার্ড, রাশান কার্ড, ভোটার কার্ড, জাতি প্রমাণ পত্র, গ্যাস কানেকশন পাবো।

বাপরে বাপ, মেয়েটির মুখে দিকে তাকিয়ে আমি হতবাক।

তুই এতো কিছু কি ভাবে জানলি?

সে শুধু আমার দিকে তাকিয়ে হাসলো। আমার ইন্টারেস্ট বাড়তে লাগলো, না মেয়েটির বুদ্ধির তারিফ না করে উপায় নাই।

তুই বড়ো হয়ে কি হতে চাস?

বিন্দুমাত্র দ্বিধা না করে ই সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দিল - আইএএস অফিসার!!!

আইএএস অফিসার!!!

মেয়ের কনফিডেন্স আছে!!

তবে তোকে অনেক পড়াশুনা করতে হবে। জানিস আইএএস অফিসার হওয়া কতো কঠিন?

জানি কাকু!!!

জানিস? বেশ অভিভূত হলাম মেয়েটির আত্মবিশ্বাস ও কথা শুনে। এতো আত্মবিশ্বাস কোথা থেকে পেলো সে। হয়তো বা দারিদ্রতার সাথে অনবরত যুদ্ধ করতে করতে শিখে গেছে। 

জানো কাকু, আমার মা ও চায় আমি পড়াশুনা করে অনেক বড়ো হই। মা সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে, সকাল সকাল পুরো কলোনীর ঘর ঘর থেকে নোংরা তুলে ও কাগজ কুড়িয়ে বেড়ায় তারপর রান্না বান্না। আমাকে স্কুলে দিয়ে আসা, নিয়ে আসা, সবকিছুই মা করে, তারপর সন্ধ্যার পর যতক্ষণ আমি পড়াশুনা করি আমার পাশে বসে থেকে আমার উৎসাহ দিতে থাকে।

আমি বুঝতে পারছি, এক অদৃশ্য বন্ধন আমাকে ক্রমাগত কাছে টেনে ধরছে, চালচুলোহীন ১০ বাই ১০ এর প্লাস্টিকের থাকা একরত্তি মেয়ের এতো আত্মবিশ্বাস, মেধা হয়তো ঈশ্বর প্রদত্ত।


যে কলোনীতে ঝোপোর ঘর বেঁধে অস্থায়ী আশিয়ানা, সেই কলোনীতে উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের বাস, আমার ড্রিধ বিশ্বাস এখানেই জেলা বিকাশ অধিকারীর বাংলো অবস্থিত, যিনি গ্রামে গঞ্জে ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন সরকারি যোজনার কথা প্রচার করিয়ে বেড়ান সেখানে প্রদীপ তলে অন্ধকার!!! প্রতিদিন বড়ো বড়ো লাল নীলবাতির গাড়ি হাঁকিয়ে সাহেবরা দিনে দুবার যাতায়াত করেন অথচ তাদের একবারও চোখে পড়লো না, মেয়েটির দিকে!!! হয়তো কালো কাঁচের ভেতর থেকে গাড়ির বাহিরের কিছুই দেখা যায় না? এতো মেধা সম্মত মেয়েটি যদি একটু সুযোগ সুভিধা পেলেই অনেক দুরে চলে যাবে, তার আইএএস অফিসার হওয়ার স্বপ্নও সফল হতে পারতো। হয়তো তারা হৃদয়হীন, যন্ত্রমানব, শুধুমাত্র চাকুরীই করছে!!! হৃদয় দিয়ে দেশের সেবা করার নূন্যতম মানসিকতা টুকুও অবশিষ্ট নেই তাদের মধ্যে।

মনে মনে স্থির করে ফেলেছি মেয়েটির স্বপ্ন পূরণে যথাসম্ভব যা সাহায্য দরকার আমি করবো।

মেয়েটির দিকে তাকিয়ে হেঁসে বললাম আজ থেকে তোর পড়াশুনার সমস্ত দায়িত্ব আমার, যত টাকা পয়সা লাগে আমি দেবো।

মেয়েটির মা এবার বললো, বাবু গরীবের উপর সহানুভূতি অনেকেই দেখায় তুমিও দেখাচ্ছো ভালো, কালকেই ভুলে যাবে বলেই দাঁত বের করে কুৎসিত ভাবে হেঁসে উঠল। আমার মনে হলো হাঁসি তো না যেনো সভ্য সমাজের মুখে সজোরে এক থাপ্পড় কষে দিল।

আমাদের টাকা পয়সা কিছুই চাই না। আমাদের যা কিছুই আছে সে নিয়েই খুশি। আমাদের জীবনে অভাব অনটন নাই। তুমি চলে যাও।এখানে দাঁড়িয়ে থেকো না। গরীব বলে কোনও দুঃখ নেই, কিন্তু মানসম্মান গেলে আর ফিরে পাবো না, নিশ্চয় জানো গরীবের শুধুমাত্র ইজ্জতই আছে, তুমি চলে যাও, নইলে, কেউ হয়তো বেশ্যা মাগীর তকমা লাগিয়ে দেবে। 

আশ্চর্য, আজকাল লুটের জামান চলছে, সর্বত্রই ফ্রী, ফ্রী,ফ্রী। যে যেমন করে পারছে লুটে পুটে খাচ্ছে আর আমি টাকা পয়সা দিতে চাইছি, সরাসরি নিষেধ করল। 

কি বলছেন আপনি, আপনার স্বামীকে ডাকুন। তার সাথে কথা বলতে চাই!!

কাকু বাবার সেই কাল থেকে জ্বর, ভেতরে শুয়ে আছে।

বাবাকে ডাক।

ডাকার আগেই জীর্ণ শীর্ণ মুখ ভর্তি আধখোচা কাঁচা পাকা মুখ ভর্তি দাড়ি নিয়ে বাবার আগমণ হলো। বেচারা কাচুমাচু হয়ে নমস্কার করে এমন ভাবে আমার দিকে তাকালো, যেন সে বড়ো অপরাধ করে ফেলেছে। 

প্রতি নমস্কার করে বললাম, আপনার মেয়ের জ্ঞান বুদ্ধি ও অধ্যবসায় দেখে আমি মুগ্ধ।

কি বুঝলো না বুঝলো ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে রইল আমার দিকে। মুখে একটাও কথা নেই।

আমি অসস্ত্ব করে বললাম, আপনি ও আপনার পরিবার যে দারিদ্র্যতার সম্মুখীন, কিভাবে জীবন যাপন করছেন সেটা বলে বোঝাতে হবে না, এই কষ্ট একমাত্র আপনার মতো গরিবরাই উপলদ্ধি করতে পারবে, আমরা না। 

আমি মেয়েটির দিকে তাকিয়ে বললাম, তোর বাবা গরীব মানুষ এটা সত্য কিন্তু তুই গরীব থাকবি না, একদিন এই কলোনিতে তোর বাংলো হবে ও লালবাতি লাগানো গাড়িতে চডবি নিজের যোগ্যতায়। আগামী কাল আমি আবার আসবো.... সঙ্গে আরও অনেক লোক নিয়ে..... তোমাদেরকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে যাবো সেখানে থাকার কোনও সমস্যা হবে না। আমার অটল বিশ্বাস ভগবানের অদৃশ্য হাত আমার মাথায় নইলে কেন আমি এই রাস্তা দিয়ে এলাম এই রাতে আর তোর সাথে দেখায় বা কেনো হলো, কই কেউ তো দেখে নি এতদিন!! ..অনেক হয়েছে,.আর না, আমি লোকদের সঙ্গে তোর মতন মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের সাঙ্গে জুড়ে যাবো, গরীব আর গরীব থাকবে না.......এবার বিচার হবে, হতেই হবে, মেটাতে হবে গরীব ও বড়োলোকের মধ্যের দুরত্ব......!!!!

মেয়েটি ছুটে এসে জড়িয়ে ধরলো আর বললো কাকু তুমি এসো..... অপেক্ষা করবো!!!!!!

Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)

#buttons=(Accept !) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Accept !